Horror Story

Most Hon ted Five Place In The World.
মানুষ বরাবরই কৌতূহলী। পৃথিবী সে চষে বেড়াতে চায়, জানতে চায় সব অজানাকে। কিন্তু চাইলেই কি পৃথিবীর সব গোপনীয়তা ভেদ করা সম্ভব? উত্তরটা অবশ্যই না। পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোতে চাইলেও কখনোই যাওয়া যায় না, জানা যায় না কী হচ্ছে সেখানে, আর কেনইবা এতসব গোপনীয়তা? আজকে এমনি কিছু রহস্যময় জায়গার কথা বলব যেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে সবসময় অধরাই থেকে গেছে। সাধারণ মানুষ পরতের পর পরত রহস্যের গল্প বুনে গেছে এগুলো নিয়ে, কিন্তু কূলকিনারা করা হয়নি কোনো রহস্যের।
এরিয়া ৫১
যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় অবস্থিত এই জায়গাটি নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ এখনও একটা ঘোরের মধ্যে আছে। এটি একটি মিলিটারি বেইজ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে সিকিউরড এলাকাগুলোর একটি। এর এরিয়ার বাইরেও একটা বিশাল এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কী করা হয় ওখানে? পৃথিবীর একটা বিশাল অংশ মানুষের ধারণা, ওখানে এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করা হয়। অনেক মানুষ এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেছে বলেও বিশ্বাস করে।
২. আইস গ্রান্ড শ্রিন : জাপান জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়, পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান। খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া এতটা কাল এখানে আজ পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। এই শ্রিনটি প্রতি ২০ বছর পর ভেঙে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়। কেন এত গোপনীয়তা? ইতিহাসবিদদের মতে, এককালের জাপানিজ সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো মূল্যবান নথিপত্র ওখানে লুকায়িত আছে, যেগুলো বিশ্বের সামনে আগে কখনোই আসেনি।
৩. ভ্যাটিকান সিটি যুগ যুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি মানুষের রহস্যের খোরাক। সেই যিশুর আমলের আগে থেকেই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান। এই জায়গাটিকে storehouse of secret o বলা হয়। খুব সংখ্যক স্কলারই এই জায়গায় ঢুকতে পারেন, তাও পোপের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে। এখানে প্রায় ৮৪০০০ বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। ধারণা করা হয় খ্রিস্টান, মেসনারি, প্যাগানসহ আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট এখানে সংরক্ষিত আছে।
৪। ক্লাব ৩৩ ডিজনিল্যান্ড সারা বিশ্বের মানুষের জন্য ডিজনিল্যান্ড একটি বিনোদনের জায়গা। পুরো জায়গাটিই সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত শুধু ক্লাব ৩৩ ছাড়া। খুব রেস্ট্রিকটেড করে রাখা হয়েছে ওই জায়গাটি। স্বয়ং ওয়াল্ট ডিজনি এই ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা। খুব আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আপনি যদি আজকে আবেদন করেন, এই ক্লাবটির সদস্য হতেই আপনার প্রায় ১৪ বছর সময় লাগবে।
৫। মস্কো মেট্রো টু এটি রাশিয়ায় অবস্থিত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রউন্ড সিটি এটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সরকারের তরফ থেকে কখনোই এর অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়া হয়নি। স্তালিনের আমলে এটি তৈরি করা হয়েছিল। একটা বিশাল অংশের মানুষ মনে করে, এটি ক্রেমলিনের সঙ্গে ভংন যবধফয়ঁধত্ঃবত্-এর সংযোগ স্থাপন করেছে। পুরো একটি শহর এটি, অথচ মানুষ এই জায়গায় যাওয়া তো দূরে থাক, এখনও এটি সম্পর্কে ভালো করে কিছু জানেই না।
Horror Story-01

" নাহ! ওদের হাত থেকে আমরা বোধহয় কখনোই বাচঁবো না" এভাবেই নিজের রাগ প্রকাশ করছিলো আনিকা হোস্টেলে নতুন আসা মেয়ে নিতুর কাছে। আনিকা পড়ে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার এ। কলেজের হোস্টেলে থাকে ও। হঠাৎ করে বাসার সবাইকে ছেড়ে এখানে একা একা থাকতে ওর প্রথম প্রথম বেশ খারাপ লাগতো।এখন সবার সাথে মানিয়ে নিয়েছে ও নিজেকে।বাসার কথা খুব বেশি মনে পড়ে না এখন। আর তাছাড়া এখানে সবাই ওর মতো একা থাকে,কারোর বাবা মাই সাথে থাকে না।তাই ওরা থাকতে পারলে ও কেন পারবে না।এভাবেই নিজেকে দিনের পর স্বান্তনা দিয়েছে আনিকা। হোস্টেলে থাকতে ভালোই লাগে এখন। সকালে সবাই একসাথে কলেজে যায়। ক্লাস শেষে রুমে ফিরেই আড্ডা।আবার মাঝে মাঝে সবাই মিলে ঘুরতে যায় বিকালে।এভাবেই প্রতিটা দিন কেটে যাচ্ছে আনিকা ও তার বান্ধবীদের।ওদের হোস্টেল জীবনটা পুরোপুরি সুখের হতো যদি হোস্টেলে শুধু ওরা,কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েরা থাকতো। কলেজের হোস্টেল ১টা হওয়ায় ফার্স্ট ও সেকেন্ড ইয়ার একসাথে থাকে। সেকেন্ড ইয়ারের মেয়েরা ফার্স্ট ইয়ার কে কখনোই বেশি পাত্তা দিতে চায় না এবং যখন-তখন অপমান করে বসে। বিশেষ করে হোস্টেলের দোতালার ২৩০ নং রুমে থাকা সেকেন্ড ইয়ারের রুমকি,কনক ও মিতুল খুব বেশি জ্বালায় ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েদের।আর যদি হোস্টেলে নতুন কোন মেয়ে আসে তাহলে তো কথাই নাই।অন্ততঃ ১ সপ্তাহ তার পিছনে লেগে থাকে ওরা। আনিকারা মাঝে মাঝে ভাবে ১টা মেয়ে কিভাবে অন্য মেয়েদের এতো বিরক্ত করে।মাত্র ২ দিন হলো নীতু হোস্টেলে এসেছে আর ওরাও যথারীতি নীতুকে নাজেহাল করে ছাড়ছে।১ম দিন ডাইনিং এ যে অপমান করলো ওরা নীতুকে;বেচারী শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো আনিকার দিকে আর আনিকা দাঁত কিড়মিড় করে বলল "ওদের হাত থেকে আমরা বোধহয় আর কখনোই বাচঁবো না।" ওদের কটুক্তি থেকে বাচঁতে তাড়াতাড়ি খাওয়া সেরে রুমে এসে দরজা লক করলো ওরা ৪জন- শ্রাবণ,সৌমি,আনিকা ও নীতু।কিন্তু একটু পরেই দরজায় নক করা শুনে বুঝলো বজ্জাত ৩টা এসেছে। অনিচ্ছা স্বত্তেও দরজা খুলল শ্রাবণ। রমে ঢুকেই কনক বলল "ইহ!গন্ধে তোদের রুমে ঢোকা যাচ্ছে না, তোরা কি বিছানায় হাগু করিস নাকি? "রাগে শ্রাবণ কিছু বলতে পারলো না। তবে সৌমি বেশ রাগেই বলল "কনক আপু আমাদের পরীক্ষা কাল,আমরা এখন পড়বো।"এক ধমকে সৌমিকে চুপ করিয়ে দিলো কনক তারপর কিছুক্ষণ নীতুকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে চলে গেলো। নীতুর হোস্টেলের ১ম রাতটা কাটলো কান্না কাটি করে। এধরনের যন্ত্রণা তবুও মেয়েরা সহজে মেনে নিতো,কিন্তু কনকদের ভয় দেখানো টাইপ জ্বালাতন হজম করতে মেয়েদের বেশ কষ্ট হতো।। কনক কলেজের ১ ম্যাডামের কাছ থেকে জেনেছিলো যে অনেক বছর আগে হোস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে ১টা মেয়ে মারা গিয়েছিলো;হোস্টেলের সিঁড়িতে মেয়েটির রক্তাক্ত দেহ পাওয়া গিয়েছিলো। এটা স্রেফ ১টা দূর্ঘটনা ছিলো কিন্তু কনকরা হোস্টেলের মেয়েদের বলতো যে ঐ মেয়েটির আত্মা নাকি রাতে হোস্টেলের করিডর ধরে হাটাহাটি করে। যদিও কেউ কোনদিন এমন কিছুই দেখেনি কিন্তু কনকদের মুখে এই কথা শুনে ভয় সবাই ঠিকই পেতো।আর মাঝে মাঝে তো কনকরা কোন কোন মেয়েকে করিডরে দাড় করিয়ে রাখতো।। কোন ১ সন্ধায় রুমকি ও মিতুল এমন কিছু করে মজা লোটার হামলা চালায় আনিকাদের রুমে। রুমে ঢুকেই আনিকাকে বলল "যা করিডরে গিয়ে দাড়িয়ে থাক,যতক্ষণ না আমরা তোকে ভিতরে আসতে বলি"। বুকের ভিতর শুরু হওয়া সাইক্লোনকে পাত্তা না দিয়ে আনিকা করিডরে চলে এলো। হোস্টেলটা অনেক আগের বলে করিডরটা চওড়ায় অনেক বড়।করিডরের এক মাথায় নিচে নামার সিঁড়ি আর অন্য মাথায় সারি দিয়ে বাথরুম। হেমন্তের হালকা শীতে সন্ধা হলেও হোস্টেলের মেয়েরা যে যার রুমে দরজা লক করে হয়ত পড়ছে বা গল্প করছে। আর বাইরে নিস্তব্ধ পরিবেশে নিরেট অন্ধকারে একা দাড়িয়ে আছে আনিকা। অন্ধকার এতো গাড়ো কেন তা ভাবতেই আনিকার মনে পড়লো আজ অমাবস্যা।।হঠাৎ এক ঝটকা ঠান্ডা হাওয়া বয়ে গেলো করিডরে। আনিকা দাড়িয়ে আছে ঠিক ওদের রুমের সামনে,করিডরের মাঝামাঝি। মনে হলো হাওয়াটা আসলো আনিকার ডানদিক অর্থাৎ সিঁড়ির দিক থেকে। আচমকা বয়ে যাওয়া হাওয়ার দিকে তাকিয়ে প্রায় আত্কে উঠলো আনিকা। অমাবস্যার রাত তবুও ষ্পস্ট দেখলো সিঁড়িতে কেউ দাড়িয়ে আছে। কে ওখানে ভবতেই একটুখানি আলো জ্বলে আবার নিভে গেলো।সেই আলোতে যা দেখল আনিকা তাতে তার শিরদাঁড়া বেয়ে একটা ঠান্ডা ভয়ের স্রোত বয়ে গেলো এবং কান ফাটানো চিৎকার দিয়ে সে পড়ে গেলো মেঝেতে। ওদিকে সিঁড়িতে দাড়িয়ে থাকা কনক জোরে হাসতে যেয়ে থেমে গেলো। মুখে সস মেখে একটা ছোটো টর্চ ঠিক মুখের সামনে রেখে একবার অন করেই অফ করে দিয়েছিলো সে। রক্তাক্ত ১টা মুখ দেখেছে ভেবে ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে করিডরে পড়ে আছে আনিকা। এতটা করতে চায়নি কনক। দৌড়ে আনিকার কাছে গেলো সে।অন্য দিকে হোস্টেলের প্রায় সব মেয়ে করিডরে এসে হাজির। রুমে নিয়ে গিয়ে মুখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হলো আনিকার। হোস্টেল সুপারের ঝাঁড়ি খেয়ে চুপচাপ এক কোণায় দাড়িয়ে আছে কনক,মিতুল ও রুমকি।এতে অবশ্য ওদের কিছুই হয়নি। তবে কনককে দেখে মনে হচ্ছে সে কিছুটা লজ্জিত। সে নিজে থেকেই আনিকাকে সরি বলে আসল ঘটনা খুলে বলল এবং ওরা ৩জনই বলল এ ধরনের ফাজলামি তারা আর করবে না। আনিকা স্বাভাবিক হওয়ার পর যে যার রুমে চলে গেলো। কনকরা রুমে গিয়ে ঢুকলো তখন প্রায় রাত ১১টা বেজে গেছে।এত তাড়াতাড়ি ওরা ঘুমায় না তাই ৩জনে আড্ডা দিতে বসলো। গল্পে গল্পে যে কখন রাত ১টা বেজে গেছে ওরা টেরই পায়নি ।ঘড়ির দিকে চোখ পড়া মাত্রই শুয়ে পড়লো মিতুল ও রুমকি আর বাথরুমে যাবে বলে বের হলো।পুরা হোস্টল তখন ঘুমিয়ে পড়েছে। কোনদিকে না তাকিয়ে সোজা বাথরুমে এসে ঢুকলো কনক। হাসি ঠাট্টায় এতক্ষণ মনে ছিলো না সন্ধার কথা;এখন মনে পড়লো এবং মনে মনে অনুতপ্ত হলো কনক।হঠাৎই মৃদু শব্দ করে বাথরুমের লাইটটা নিভে গেলো। কনক এতটা ভীতু না হলেও এত রাতে হঠাৎ আলো নিভে যাওয়ার গাঁ ছমছম করে উঠলো ওর। হাতড়ে পাতড়ে বাথরুমের দেয়াল ধরে ধরে দরজা খুঁজতে লাগলো কনক। কারো নিঃশ্বাস ওর ঘাড়ে অনুভব করা মাত্রই পিছনে তাকালো কনক। কিন্তু তাকিয়ে লাভ কি;ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিছুই দেখতে পেলো না ও।
অথচ নিজের ঘাড়ে কারো নিঃস্বাশ ফেলার মত গরম হাওয়া সে অনুভব করেছে;কিন্তু বাথরুমে তো আর কেউ নেই।দৌড়ে ওখান থেকে চলে যেতে ইচ্ছা হলো কনকের। আরো দ্রুত দরজা খুঁজতে লাগলো সে। দরজার ছিটকানিতে হাত ঠেকা মাত্রই দরজা খুলে দৌড়ানো শুরু করলো কনক।দৌড়ে ৪-৫ কদম আসার পর কিছুতে ধাক্কা খেয়ে দাড়িয়ে যাওয়ার মত থামলো কনক। স্পষ্ট দেখলো কেউ দাড়িয়ে আছে সিঁড়িতে। শুধু দাড়িয়েই আছে না আস্তে আস্তে সামনে আসতে শুরু করেছে।আর তখনি হঠাৎ কোথা থেকে একটুখানি আলো জ্বলে আবার নিভে গেলো।সেই আলোতে কনক দেখলো রক্তাক্ত বীভৎস একটা মেয়ের মুখ।তীব্র চিৎকার দিতে চাইলো কনক কিন্তু মুখ হা করলেও গলা দিয়ে কোন শব্দই বের হলো না।এবার সে অনুভব করলো ঠিক তার পিছনেই কেউ দাড়িয়ে আছে। চিন্তাটা মাথায় আসায় পিছনে তাকাতেই আবারো আত্কে উঠলো কনক। ঠিক তার পিছনেই দাড়িয়ে আছে একটু আগে সিঁড়িতে দেখা রক্তাক্ত মেয়েটি,যার বীভৎস পঁচা গলা মুখটি কনকের ঠিক ১হাত সামনে। পঁচা মাংসের গন্ধে বমি এসে গেলো কনকের। তখনি মেয়েটি ১হাত বাড়িয়ে দিলো কনকের দিকে।এবার কনকের মুখ দিয়ে বিকট শব্দ বের হলো এবং সে জ্ঞান হারালো। আর্শ্চয্যজনকভাবে তখনি বাথরুমের লাইটটা জ্বলে উঠলো। । কনকের জ্ঞান ফেরেনি আর কখনো,তাই সেদিন কি ঘটেছিলো কেউ জ্বানলো না কখনো। আনিকার সাথে কনক যা করেছিলো সেদিন সন্ধায়,ঠিক ১২ বছর আগে কোন এক সন্ধায় একই ঘটনা ঘটেছিলো ফার্স্ট ইয়ারের মেয়ে তাহিয়ার সাথে। আনিকা স্বাভাবিক হলেও তাহিয়া স্বাভাবিক হতে পারে নাই তাই অন্যমনষ্ক হয়ে ছাদে হাটাহাটি করার সময় নিচে পড়ে মারা যায় সে। হয়ত ১২ বছর পর প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছিলো সে।। ( সমাপ্ত )
Collected By Google..

Horror Story-02
Ψ Ψ লক্ষ্যণীয়-- গল্পটি যারা পূর্বে পড়েছেন তারা কোন কমেন্ট করবেন না ΨΨ সত্য ঘটনা বলে পড়ে মজা নাও পেতে পারেন । আজকের গল্পটি নিছক গল্প নয় সত্য ঘটনা। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে সবেমাত্র ডিগ্রিতে নটরডেম কলেজে ভর্তি হয়েছি। উঠতি মাস্তান বোহিমিয়ান। ধরাকে সরা জ্ঞান করা স্বভাবদোষে পরিনত হয়ে গিয়েছিল। সবার চাইতে একটু বেশী বোঝা অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করায় ছিল রাজ্যের আনন্দ। সবার মধ্যেই এই জাতীয় উপসর্গ গুলি এক সময় বাসা বাধে সময়ের প্রবাহে শিক্ষা, জ্ঞান ও পারিপার্শ্বীকতায় ক্রমেই দোষগুলি কাটতে থাকে। অতি সাধারন যারা তাদের মধ্যেই এই সকল দোষের প্রাধান্য একটু বেশী লক্ষ করা যায় । তাই আমার দোষের অন্ত ছিল না। এর মধ্যেই অবিশ্বাষীর দলে নাম লিখিয়ে ফেলেছি, ধর্মের চুলচেরা বিষ্লেশন শুরু করেছি। এলাকার বাঘা বাঘা ধর্ম বিশ্বাষীকে বির্তকের জালে আটকে শিষ্যত্ব বরণে বাধ্য করেছি। তবে আমার ভেতর একটা ছন্নছাড়া ভাব সবসমায় কাজ করত তাই একটি বিষয়ের মধ্যে নিজেকে বেশীদিন আটকে রাখতে পারতাম না। বিষয় ভেদে চালাতাম পরিক্ষা নিরিক্ষা যতদিন ভাল লাগত ততদিন। কিন্তু গুনি মানুষ গুলির বচন ছিল সম্পুর্ন ভিন্ন। তারা বলতেন চর্চা, চর্চা ও চর্চা ছাড়া কোন বিষয়কে আয়ত্ব করা যায় না। কে শোনে কার কথা নিজের ইচ্ছার কাছে সমস্ত বিষয় গুলিকে বলি দিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি। জীবনযুদ্ধে যারা সফল সেই রকম কেউ আমার কাছে এলে একটি দু:খবোধ যেন আমাকে ছুয়ে যায়। তা ছাড়া বিন্দাস আছি। বিশ্বাসের ধারাটা এখন একটু পাল্টেছে আল্লার অস্তিত্ব এখন আর অস্বীকার করতে পারি না। যুক্তি ও তর্কের মধ্যে আল্লার অস্তিত্ব বার বার উপলদ্ধি করি। তবে প্রচলিত ধর্মগুলিতে বিশ্বাস নেই। মানুষে মানুষে প্রভেদ খুজে পাই না। সবার মাঝেই মানবিক দোষগুন গুলি প্রত্যক্ষ করি। তাই ধর্ম দিয়ে মানুষকে ভাগ করাকে নিরঅর্থক মনে হয়। যে ঘটনাটা বলতে যাচ্ছি তার সাথে উপরিউল্লেখিত বিষয় গুলির একটি সর্ম্পক আছে বিধায় বলতে হলো। আমার এক বন্ধু নাম ধরুন রফিক ক্লাস ফাইভ থেকেই বন্ধুত্ব বছর দুয়েক হলো ওর বাবা গত হয়েছে। বড়ভাই হওয়ার সুবাদে স্বভাবতই ওর কাধেই সংশারের যোয়ালটা নেমে এসেছিল। মা দুবোন তিন ভাইএর সংশার। বাবা মারা যাবার পর ওদের সংশারে নেমে এসেছিল নিদারুন দু:খকষ্ট যা নাকি ওকে বাধ্য করেছিল পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে চাকুরীতে লাগতে। ও মট্রিক পাশ করে পাটকলের সুপার ভাইজার হিসাবে ঢুকেছিল সেই কবে আজও ঐ একই চাকরীতে লেগে আছে। কোন উন্নতিও নেই অবনতিও নেই। বোন দুটির বিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু কপাল দোষে দুজনেই ওর কাধে বোঝা হয়ে ফিরে এসেছে যার যার সন্তানসহ। আমি বরাবরই অলৌকিকতায় বিশ্বাস করি না। রফিক তখনও বিয়ে করেনি। এক শুক্রবার আমার বাসায় এসে ও আমাকে বলল দোস একটু বিপদে পড়েছি। আমি বললাম র্নিদিধায় বল আমার পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব আমি করব। ও যা বলল তা শুনে আমার মনে হলো ও মানশিক ভাবে সুস্থ কি না। জিন ভুত এগুলির অস্বিস্ত কোনটাই বিশ্বাস করি না। ওর বক্তব্য অনুযায়ী রাতে ঘুমুতে গেলেই কে বা কারা যেন ওদের টিনের দেয়ালে খামাখাই জোরে জোরে আচর কাটতে থাকে যার ফলে ঘুমানোটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কোন প্রকার সংগত কারন ছাড়াই ঘটনাটি গত এক মাস ধরে রোজ রাতেই ঘটছে। আমি বললাম ও’কে আজ রাতে আমি তোর সাথে তোদের বাসায় গিয়ে থাকব। একটি হকিষ্টিক ও টর্চলাইটের ব্যাবস্থা করে রাখিস। আমি সময়মত পৌছে যাব। রাত দশটা নাগাদ রাজ্যের রাজকর্ম সেরে ওদের বাসায় গিয়ে পৌছালাম। ওদের বাসাটা শহরতলীর প্রায় শেষ প্রান্তে অবস্থিত রাস্তার উপরে একটি দোতালা বাড়ী তার পেছনে পনার বিশ গজ ফারাকে ওদের সর্ম্পুন টিনের ঘড়টি হালকা গাছগাছালীতে ঢাকা ওদের বাড়ীর পেছনে আর কোন বাড়ী নেই ঢাকার ভাষায় তখন সেই অঞ্চলকে নামা বলত(নীচু ফসলের জমি ও খাল বিলের সমারোহ)।রাতের খাবার খেয়েই রাত বারোটা নাগাদ আমরা দুই বন্ধু ফ্লোরে বিছানা করে শুয়ে পড়লাম রফিক বললো লাইট নিভানোর পড়েই শুরু হবে অত্যাচার।
আমাকে আরো বললো এমনিতে কোন ভয় নেই এপর্যন্ত কোন ক্ষতি করেনি শব্দ করা ছাড়া। লাইট নেভানোর সাথে সাথেই শুরু হয়ে গলে ভুতের খেলা। আমি আর রফিক লাইট জালিয়ে হকিষ্টিক ও টর্চ হাতে বেড়িয়ে পড়লাম বাড়ীর চারপাশটা ঘুরে দেখে মনের কোনে লুকিয়ে থাকা সন্দেহটাও আর রইল না। বাড়ীটার পাঁচ গজের মধ্যে কোন গাছের ডাল পর্যন্ত নেই যে বাতাসে তা টিনের দেয়ালে টক্কর খেয়ে এজাতীয় শব্দ হবে। মনে মনে কিছুটা দমে গেলাম। এ কেমন খেলা রফিককে বললাম তুই ঘড়ে ঢুকে লাইট নিবিয়ে দিয়ে শুয়ে পর আমি একটু পর আসছি। ও ঘরে ঢুকে দরজাটা ভিজিয়ে দিয়ে শুয়ে লাইটটা নিভিয়ে দিতেই আবার শুরু হলো একই শব্দ এবার সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গেলাম আশে পাশে জনমানুষের কোন উপস্থিতি নেই তবুও শব্দটা আসছে। এমন ভয় জীনে বকখনো পেয়েছিলাম বলে আমার পড়ে না। তাই তাড়াতাড়ি ঘড়ে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলাম। সকালে কাউকে কিচ্ছুটি না বলেই চলে এলাম আর অনাবরত মনে একটি প্রশ্নই উদয় হতে থাকলো কারন ছাড়া এটা ঘটতেই পারে না কিন্তু করানটা কি? পৃথিবীর সমস্ত নামকরা নামকরা মনোবিজ্ঞানীদের কেস হিষ্ট্রি গুলো পড়ে যাচ্ছি যুতসই কোন উত্তরই খুজে পাচ্ছি না। দুবছর পর উত্তর বেড়িয়ে এল পশ্চিম বাংলা বিজ্ঞান পরিষদের সভাপতি প্রবির ঘোষের লেখা বইটি থেকে। বইটির নাম ভুলে গেছি।সাথে সাথেই রফিককে একান্তে ডেকে নিয়ে বলেছিলাম দোছ আওয়াজ তোমার ঘড়ের ভিতর থেকেই কেউ করছে যে তোমাদের দায়িত্বহীনতায় তোমাদের উপর ক্ষেপে গিয়ে এসব করে তোমাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। যদি আমার কথা বিশ্বাস কর তো তুমি তোমার দুই বোনকে যেভাবেই হোক তাদের সংশারে ফিরে যাবার ব্যাবস্থা কর তাহলেই আমার বিশ্বাস তুমি এ নরক যন্ত্রনা থেকে রেহাই পাবে। এরপর রফিক মাসখানেক দেন দরবার করে ওর বোনের স্বামীদের সাথে একটি আপোশ রফায় এসে বোনদের স্বামীর বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে সেই ভুতও আর ওদের জ্বালায়নি।
Collected By Google..

Horror Story-03
ছোটবেলা থেকেই ব্যাখ্যার অতীত বিষয়সমূহ নিয়ে আমার সীমার অতীত আগ্রহ ! এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে আমার কোন ক্লান্তি নেই। তাই রহস্যের খোঁজ পেলে আর দেরি করি না, ছুটে যাই ঘটনাস্থলে। আর এধরণের ঘটনা সংগ্রহের জন্য নানা ধরণের লোকের সাথেই কথা বলতে হয়। এবারও তেমনি এক কের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার সুযোগ এসে গেল। লোকটির নাম করিম মিয়া। তিনি মৃত মানুষের জন্য কবর খোঁড়া এবং দাফন কাজ সমাধা করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি একাজ করে আসছেন। আর আমি যে ধরণের গল্পের জন্য হয়রান সে ধরণের ঘটনা তার জীবনের নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। গত বছর আমার এক আত্মীয়ের লাশ দাফনের সময় তার সাথে পরিচয়। তখন তার মুখে বেশ কিছু কাহিনী শোনা হয় যদিও তার জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক কাহিনী সে বলতে চায়নি সেদিন; অনেক জোর করার পরও। আমি আমার মোবাইল নাম্বার তাকে দিয়ে আসি এবং প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলি। এর মাঝে কেটে গেছে অনেকদিন। তার কথা প্রায় ভুলেই গেছিলাম। হঠাগতকাল অচেনা একটা নাম্বার থেকে ফোন পেলাম হুম, সেই লোকের ফোন ! তার চেয়ে বড় কথা তিনি তার ঘটনাটি আমাকে বলতে চান। এই ঘটনা কাউকে না বলে নাকি তিনি শান্তি পাচ্ছেন না। তাছাড়া অন্য কেউ এই ঘটনা বিশ্বাসও করবে না তো পরদিনই দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। করিম মিয়া বলল যে কবরস্থানে তিনি ঘটনার শিকার সেখানেই তিনি কাহিনী বলতে চান। আর সময়টাও রাতে হলে তার জন্য ভালো হয়। আমার কোন আপত্তি ছিল না। সময় ঠিক করলাম রাত ১২ টা। আমি পৌঁছে গেছিলাম সময় মত। কবরস্থানের একটু সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। বেশ রাত, আর জায়গাটাও কেমন নির্জন। তাই একটু অস্বস্তি হচ্ছিল। যদিও সেসবে পাত্তা দিলাম না। একটু পর ধীর পায়ে কারও এগিয়ে আসার শব্দ পেলাম। হ্যাঁ, করিম মিয়াই হবে। ছোটখাটো গড়নের করিম মিয়া ধীর পায়ে এগিয়ে আসছিল। কাছে এসে বলল, “ভাইসাব, একটু রি কইরা ফেললাম।এই বলে আমাকে নিয়ে কবরস্থানের একটু সামনে বসার মত একটা জায়গায় বসে পড়ল। কোন রকম ভূমিকা ছাড়াই সে তার কাহিনী শুরু করল...... (এখানে করিম মিয়ার ভাষায় আঞ্চলিকতা উহ্য রাখা হল) ___সেদিন ছিল পূর্ণিমা। চাঁদের পূর্ণ আলোয় সবকিছু পরিষ্কার দেখা চ্ছিল। আমি আর আমার নিত্যদিনের সঙ্গী জহির মিলে একটা কবরে বেড়া লাগানোর কাজ শেষ করে বাসার দিকে রওনা হলাম। কবরস্থানের গেটের কাছে এসে দেখলাম দুইজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পরনে সাদা পাঞ্জাবী, মুখে শুভ্র দাড়ি। তাদের হাতে একটা লাশ কাফনে মুড়িয়ে রাখা। দেখে বুঝলাম কোন বাচ্চার লাশ হবে। তারা বলল বাচ্চার লাশ দাফন করতে হবে। আমি বললাম লাশ দাফনের আগে স্থানীয় হুজুরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। আমি লোক দুজনকে দাঁড়াতে বললাম। হুজুরের বাসা একটু সামনেই। আমি আর জহির হুজুরের বাসার দিকে হাঁটা দিলাম। যাওয়ার সময় দেখেছিলাম লোক দুটি গেটের সামনেই দাঁড়িয়ে। হুজুরের সাথে কথা হল। তিনি আমাদেরকে তিনি আমাদেরকে কবরস্থানে গিয়ে দাঁড়াতে বললেন। তিনি কিছুক্ষণ পর এসে লোকগুলোর সাথে কথা বলবেন। তো আমরা আবার ফিরে চললাম। রাত তখন আরেকটু গভীর। চারপাশ চাঁদের আলোয় ভিন্ন অবয়ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কবরস্থানের গেটের সামনে এসে দাঁড়ালাম। কিন্তু সেই দুই লোককে কোথাও দেখতে পেলাম না। একটু অবাক হলাম। জহির গেট খুলে কবরস্থানের ভিতর ঢুকল। আমি বাইরেই খুঁজতে লাগলাম তাদের। তাদের তো ভিতরে ঢুকার কথা নয় ! অনেক খুঁজেও না পেয়ে ধীর পায়ে কবরস্থানের ভিতরে ঢুকলাম। সেই সময় জহিরের বিকট চিকার শুনলাম। একটা চিকারই কানে আসল। দৌড়ে গেলাম চিকার লক্ষ্য করে। কিছুদূর যাওয়ার পর চোখের সামনে যে দৃশ্য দেখতে পেলাম, তাতে সর্বাঙ্গে কাঁপন ধরে গেল। সেই লোকদুটির হালকা অবয়ব চোখে পড়ছিল, তারা পেছন দিকে মুখ করে আছে। তাদের হাতে সেই চ্চার কাফনে মোড়ান লাশ। লাশের উপরের দিকে কাপড় ছিঁড়ে নেয়া হয়েছে মাথাটা আলগে ধরে দুজনে মিলে গভীর আগ্রহে লাশটিকে নখ দিয়ে আঁচড়ে ক্ষত- বিক্ষত করছে। তাদের মুখ থেকে একধরণের জান্তব এবং উল্লাসিত গোঁ গোঁ জাতীয় আওয়াজ ভেসে আসছিল। একটু পাশেই পড়ে আছে জহিরের িথর দেহ। প্রাণ আছে কিনা ঠিক বোঝা গেল না। এসব দৃশ্য আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবস্থা এমন, যে অজ্ঞান হতেও ভুলে গেছি !! মনে হচ্ছিল দাঁড়িয়ে থেকেই মৃত্যু ঘটবে আমার ! আমার শ্বাস-প্রশ্বাসের গভীর আওয়াজে হঠাসেই জন্তুগুলো ঘুরে তাকাল আমার দিকে। সে এক অদ্ভুত, ভয়ংকর চেহারা। ঘাড়ের উপর গোলাকার এক মাংসের স্তূপ। সেখানে চোখ, নাক, ঠোঁটের কোন অস্তিত্ব নেই। ঘাড়ের উপরে মাংসের পিণ্ডটি অনেকটা তরল জাতীয়, কেঁপে কেঁপে উঠছে ! তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাল; চোখহীন অথচ ভয়ানক প্রখর সে দৃষ্টি, মুখে সূক্ষ্ম হাসির রেখা। আর সহ্য করা সম্ভব হল না। নিঃশব্দে লুটিয়ে পড়লাম মাটিতে। এরপর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে হাসপাতালে দেখতে পাই। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন সেই হুজুর। জহিরকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাদেরকে আমি কিছু জানাই নি। শুধু বলেছি ভয়ংকর কিছু ঘটেছিল। হুজুর আর আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেননি। এই ঘটনা আর কাউকে বলতে পারিনি। আজ আপনাকে বলে স্বস্তি পেলাম...... ঘটনা শুনতে শুনতে নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গেছিলাম। বড় একটা নিঃশ্বাস নিয়ে বললাম, বড় অদ্ভুত কাহিনী। ঠিক বিশ্বাস হয় না ! করিম মিয়া হেসে উঠে বলল, না হইলেই ভালো। অনেক রাত হইছে, আপনার ফিরা উচিত তার কথায় সম্বিত ফিরে পেলাম। আসলেই অনেক রাত। উঠে দাঁড়ালাম আমি; ফিরতে হবে। করিম মিয়া, যাই তাহলে। আপনার সাথে পরে একদিন এই বিষয়ে আরও কথা বলব। উঠে দাঁড়াতেই মোবাইল বেজে উঠল। অচেনা একটা নাম্বার থেকে কল। কল ধরতেই পরিচিত এক কণ্ঠ বলে উঠল, ভাইজান ! বড় বিপদে পইরা গেছি। আজকে আর আসতে পারলাম না ! ঘটনা হইছে কি...... ঘটনা কি, তা আর শোনা হল না। মোবাইল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আমার বিস্ফোরিত চোখ করিম মিয়ার দিকে। করিম মিয়া ধীরে ধীরে মুখ তুলে আমার দিকে তাকাল। তার ঘাড়ের উপর মাংসের দলা কিলবিল করছে মুখে অপার্থিব এক ব্যাঙ্গের হাসি, চোখহীন অথচ তীব্র এক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে...!
Collected By Google..

Horror Story-04
Come to find out my mother was in the living room fast asleep and had woken up from my calls, running into my room. When I looked at her, the black figure had gone and I have not seen it since. But I guess I had always been afraid after that of what might be watching me or threatening to harm me at any given moment. I know that was a demon…it was too dark and felt too evil…

Short Story 2 (Party Haunting)
This is what happened to me on a party when I was 9. I had my 2 cousins, my best friend and my best friend’s brother over at my house. We all went into the basement to start playing around. Then, my younger cousin starts screaming. We ask him what he saw and he says, “How many people do we have?” We respond 5 and he starts to cry. He says “someone rushed past you’re friend” to me. I look at my friend and he looks terrified. He says he felt cold down there. “I didn’t” I said. I and my friend go down. We hear strange noises from behind the storage room door. My friend who is 10 has the guts to open the door. As soon as he opened it he ran screaming “A ghost grabbed at me!” We all run up again. I stared in complete horror at my best friend’s face. He was smiling horribly, his eyebrows down like he was mad. I slap him, back to his senses. I see something; I don’t know what, like a figure run down to the basement. We all agree not to go down there again for the rest of the night.
Collected By Google..

Horror Story-05
Short Story 3 (House on Halloween Hill)
All of the trick or treaters avoided the house on halloween hill. The owners were really scary and only ever came out at night. It started when a boy called Josh and his girlfriend were ghostbusting. Josh’s girlfriend dared him to go up to the house. So off he went up the hill. The owners had gone out for their midnight shopping. He went down the stairs to the basement and just as he got to the bottom, he heard the front door open. He hid in one of the boxes. He heard footsteps on the stairs. He opened the lid slightly and saw the woman open a fridge and take out a bottle of blood. She then went up the stairs and closed the door. He got out of the box he was hiding in and turned to look at it. To his horror there in front of him were two coffins. Before long he heard them again. Josh froze in shock. He had to hide but could not move. The door opened and in walked the owners. They saw Josh straight away. They grabbed him. He screamed. Josh was never seen again.
Collected By Google..

Horror Story-06
Short Story 4 (Don’t Look Out the Window)
When i was ten me and my best mate use to sleepover at each others houses on the weekends. It was my turn to sleepover at hers. In her room she had a bunk bed facing the window and i was sleeping on the top. We were watching TV and from her window you can see a row of houses and a row of trees. It was quite dark and for some reason i just looked out of the window and stared at the nearest tree, felt like someone was watching me. All of a sudden I saw this long black leg stick out from the tree and disappear!! I told my mate and when she looked nothing was there. It gave me chills whenever we played near them trees.
Collected By Google..

Horror Story-07
I have to be honest, but I am a bit mortified sharing this story. It has been a few months since I had this spooky encounter and the image of that lady is still emblazoned in my mind, accompanied by many unreciprocated questions.
I had heard of black eyed girls before a lot, those being possessed by the demonic spirits, but I thought they existed in movies like exorcism of Emily Rose only. However my sixth sense always believed in the existence of such spirits in reality. And Maniple being an extremely haunted territory, I was petrified when I saw one that day…….
I was standing outside the KC ATM, checking my bank account on my mobile. Suddenly, a young girl passed by. She stood for a second near the Maniple stores and started staring at me. I smiled and looked away. Then something registered in my mind that the girl didn’t look right. It felt as if the girl was looking right through me. I stared back, trying to make the rude girl look away and that’s when I realized that her eyes were completely dark with no silver of white, like hollow looking similar to doll eyes. I freaked out and immediately ran towards the 9th block. It was evening time I guess. The sunlight was fading away. Surprisingly it became dark very early that evening. But what happened next is something I can never forget for the rest of my life…..
I found myself in the midst of a quite road heading nowhere. I was pretty sure this road never existed inside the MIT premises. Wondering where to go, I was horrified by my hapless state.
Now this road led to nowhere. I still can’t recollect properly, but the road had oak trees on both sides, and there was no one around. There was a signal which said “In god how can you trust “and there was no divergence.
I was totally aghast. I could observe a force controlling me. Then suddenly, I saw the same black eyed lady standing at a distance. Now this ghostly apparition didn’t move, she had her head held high but was looking at me with a flayed vision. Hard to explain, sort of using her peripheral vision. She had old raggedly clothes covering her body and her hair was very silky and long. She looked to be hungry for freedom, freedom from a force that has been disturbing her over the past many years. After a couple of minutes, I happened to see myself at the same ATM at KC and the sun was shining brightly, everyone was moving around and it appeared as if nothing had happened. For a moment I thought my sixth sense was playing tricks with me, But deep down the line, I know what I saw was not something illusionary. It was real…..
I shiver every time I think of it. Curious to know, I did some online research to see
if there was some eye condition that caused the eye to be completely black and not due to dilation. But none of the sites could exactly explain me the rationale that surrounds behind the black eyed lady. It was much later that I got to know about a family friend whose daughter had been sent to an asylum. With much trepidation I overheard my dad tell my mom that it was claimed to be a demonic possession. There were a lot of questions racing through my mind. Was my vision related? Why just me? Did she want to convey something? I chose not to know them as some things are just better left unknown.
Well time has flown since then, but this episode has left a deep impression on my tender memory, an impression which will remain forever……till I get my answers. I still get Goosebumps when I withdraw cash from KC ATM or when I walk passed the 9th block road. I just hope that I don’t see that lady ever in my life again.
‘The tempter chose another
As the mortals fear the ire
The incense soul shall desire exempt
As Lucifer smiles the pine’
Collected By Google..

1 comment: