"টেলিটক থ্রিজি... বাঁধ ভেঙে দাও!!!"
থ্রিজি যুগে বাংলাদেশ: সূচিত হলো যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নতুন মাইলফলক!!
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রি-জি) মোবাইল প্রযুক্তির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সব নাগরিকের জন
্য ‘প্রযুক্তি বিভেদমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক জমকালো অনুষ্ঠানে সুইচে
চাপ দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের এই সেবার
পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন
। এর আওতায় শুরুতে রাজধানীর চার লাখের বেশি গ্রাহক এ সেবা পাবেন।
এখনো থ্রি-জি নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় আপাতত এ সেবাকে বলা হচ্ছে ‘পরীক্ষামূলক’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনে আমরা অনেক অগ্রসর হয়েছি।”
টেলিটকের থ্রি জি বাণিজ্যিক সেবার উদ্বোধন করে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। পরে নিজের ছেলেবেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজিমপুর গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল মিলনায়তন সাজানো হয় জমকালো সাজে। মঞ্চের পেছনে বসানো হয় বিশাল আকারের ডিজিটাল পর্দাা। মঞ্চের দুপাশেও ডিজিটাল পর্দা ছিল।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, থ্রি-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ গতিতে তথ্য আদান-প্রদান অনেক সহজ হবে। কেউ চাইলেই এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের দপ্তরে বসে ভিডিও কল বা ভিডিও কনফারেন্স করতে পারবেন। শহরে গাড়ির গতিবিধি দেখে অনাকাঙ্খিত যানজট এড়াতে পারবে পুলিশ। দুরশিক্ষণ কার্যক্রমও সহজতর হবে। মোবাইল ফোনেই টেলিভিশন দেখা যাবে। সহজ হবে বিনোদন।
যে মোবাইলে সেটে সিম কার্ডটি ব্যবহার হবে তা থ্রি-জি সিমের উপযুক্ত হতে হবে। থ্রি-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হলে কল দাতা ও গ্রহীতা- দুজনের হাতেই এ সুবিধা থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টেলিটকের থ্রি-জি সিমের মাধ্যমে ভিডিও কলে পড়বে খরচ প্রতি মিনিটে দুই টাকা। এতে ১০ সেকেন্ড পালস সুবিধা থাকবে। মোবাইল ফোনে বিটিভির পাশাপাশি জিটিভি, আরটিভি, সময় ও মাইটিভি দেখা যাবে।
উদ্বোধনের পর থ্রি-জি সিম বিক্রি শুরু হওয়ার কথা রোববার থেকেই। তবে সিমটি ব্যবহার উপযোগী করার আগে গ্রাহকের পরিচয় পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হবে। এজন্য গত কয়েক মাসে যারা ‘গ্র্যাভিটি’ ক্লাবে যুক্ত হয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করবে টেলিটক কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীতে তিন হাজার খুচরা বিক্রেতা এবং আটটি কাস্টমার সেন্টারে সিম বিক্রি হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার ৪ লাখ গ্রাহক থ্রি জি সুবিধা পাবেন। চলতি বছরই এই সুবিধা চালু হবে চট্টগ্রামেও।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সচিব সুনীল কান্তি বোস অনুষ্ঠানে বলেন, “এটি যাতে অচিরেই সারা দেশে ছড়িয়ে যায়, সেজন্য নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। বেসরকারি অপারেটরগুলোকে এ জন্য লাইসেন্স দেওয়া হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় অনুষ্ঠানে বলেন, বর্তমান সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করে, তখন অনেকের কাছেই প্রশ্ন ছিলো উন্নত তথ্য প্রযুক্তি গ্রামে পৌছাবে কীভাবে।
“আমরা চাইনি ডিজিটাল ডিভাইড হোক”, বলেন জয়।
বর্তমান সরকারের প্রথম বছরেই ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র চালু করার বিষয়টি উল্লেখ করে জয় বলেন, “শুধু তথ্য সেবা দিলেই হবে না। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল অবকাঠামোগত। এখানে কানেকটিভির অভাব। সকল কানেকটিভিটি হলো ইউএসবি মোডেমের মাধ্যমে। থ্রি-জি চালু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।”
জয় বলেন, থ্রি-জি নীতিমালা শিগগিরই চূড়ান্ত করে ‘কয়েক মাসের মধ্যে’ নিলামের মাধ্যমে অন্য অপারেটদের লাইসেন্স দেয়া হবে।
টেলিটককে থ্রি-জি প্রযুক্তি চালু করতে সহায়তা দেয়ায় চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান জয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
। এর আওতায় শুরুতে রাজধানীর চার লাখের বেশি গ্রাহক এ সেবা পাবেন।
এখনো থ্রি-জি নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় আপাতত এ সেবাকে বলা হচ্ছে ‘পরীক্ষামূলক’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনে আমরা অনেক অগ্রসর হয়েছি।”
টেলিটকের থ্রি জি বাণিজ্যিক সেবার উদ্বোধন করে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। পরে নিজের ছেলেবেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজিমপুর গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল মিলনায়তন সাজানো হয় জমকালো সাজে। মঞ্চের পেছনে বসানো হয় বিশাল আকারের ডিজিটাল পর্দাা। মঞ্চের দুপাশেও ডিজিটাল পর্দা ছিল।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, থ্রি-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ গতিতে তথ্য আদান-প্রদান অনেক সহজ হবে। কেউ চাইলেই এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের দপ্তরে বসে ভিডিও কল বা ভিডিও কনফারেন্স করতে পারবেন। শহরে গাড়ির গতিবিধি দেখে অনাকাঙ্খিত যানজট এড়াতে পারবে পুলিশ। দুরশিক্ষণ কার্যক্রমও সহজতর হবে। মোবাইল ফোনেই টেলিভিশন দেখা যাবে। সহজ হবে বিনোদন।
যে মোবাইলে সেটে সিম কার্ডটি ব্যবহার হবে তা থ্রি-জি সিমের উপযুক্ত হতে হবে। থ্রি-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হলে কল দাতা ও গ্রহীতা- দুজনের হাতেই এ সুবিধা থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টেলিটকের থ্রি-জি সিমের মাধ্যমে ভিডিও কলে পড়বে খরচ প্রতি মিনিটে দুই টাকা। এতে ১০ সেকেন্ড পালস সুবিধা থাকবে। মোবাইল ফোনে বিটিভির পাশাপাশি জিটিভি, আরটিভি, সময় ও মাইটিভি দেখা যাবে।
উদ্বোধনের পর থ্রি-জি সিম বিক্রি শুরু হওয়ার কথা রোববার থেকেই। তবে সিমটি ব্যবহার উপযোগী করার আগে গ্রাহকের পরিচয় পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হবে। এজন্য গত কয়েক মাসে যারা ‘গ্র্যাভিটি’ ক্লাবে যুক্ত হয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করবে টেলিটক কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীতে তিন হাজার খুচরা বিক্রেতা এবং আটটি কাস্টমার সেন্টারে সিম বিক্রি হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার ৪ লাখ গ্রাহক থ্রি জি সুবিধা পাবেন। চলতি বছরই এই সুবিধা চালু হবে চট্টগ্রামেও।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সচিব সুনীল কান্তি বোস অনুষ্ঠানে বলেন, “এটি যাতে অচিরেই সারা দেশে ছড়িয়ে যায়, সেজন্য নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। বেসরকারি অপারেটরগুলোকে এ জন্য লাইসেন্স দেওয়া হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় অনুষ্ঠানে বলেন, বর্তমান সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করে, তখন অনেকের কাছেই প্রশ্ন ছিলো উন্নত তথ্য প্রযুক্তি গ্রামে পৌছাবে কীভাবে।
“আমরা চাইনি ডিজিটাল ডিভাইড হোক”, বলেন জয়।
বর্তমান সরকারের প্রথম বছরেই ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র চালু করার বিষয়টি উল্লেখ করে জয় বলেন, “শুধু তথ্য সেবা দিলেই হবে না। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল অবকাঠামোগত। এখানে কানেকটিভির অভাব। সকল কানেকটিভিটি হলো ইউএসবি মোডেমের মাধ্যমে। থ্রি-জি চালু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।”
জয় বলেন, থ্রি-জি নীতিমালা শিগগিরই চূড়ান্ত করে ‘কয়েক মাসের মধ্যে’ নিলামের মাধ্যমে অন্য অপারেটদের লাইসেন্স দেয়া হবে।
টেলিটককে থ্রি-জি প্রযুক্তি চালু করতে সহায়তা দেয়ায় চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান জয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
No comments:
Post a Comment